বিশেষ প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর সাব রেজিস্ট্রি অফিস, ঘুষের টাকায় সবই সম্ভব ; বহাল তবিয়তে আজমল। লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের খন্ডকালীন সাব রেজিস্টার আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। রাজস্ব ফাঁকির সেই অর্থ আদায়ে তার নেই কোন তৎপরতা। এতে করে সাধারন মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানান রকম প্রশ্ন! সাব রেজিস্টার আজমল হোসেনের খুঁটির জোর কোথায়?
গত ১৬ মে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম এ এ সংক্রান্ত অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল মৌজার সিঙ্গারবিল বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি কারখানার ভূমিকে পরিত্যাক্ত কারখানা/ভিটে ভূমি দেখিয়ে সরকারকে লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দাতা-গ্রহীতা, দলিল লেখক ও সাব রেজিস্টার এর যোগসাজশে সরকারের এ রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। যার বিনিময়ে দাতা গ্রহীতার কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়েছেন সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাজী মিজানুর রহমান খন্দকার ও সাব রেজিস্টার, সে জন্যই তারা নিজেদের পকেট ভারী করতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। কথিত আছে বাংলাদেশ সাব রেজিস্টার সমিতির এক শীর্ষ নেতা ও মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের এলাকার একজন সাব রেজিস্টারও রয়েছেন এই অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত।
বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনস্থ সিঙ্গারবিল মৌজার এই জমির রেকর্ডপত্রে জানা যায়, উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের জুলমত আলীর ছেলে মুকসুদ আলীর নামে বিএস ২৯২ নং খতিয়ানে সাবেক ৫২৬/৫৫৭ ও হালে ৩৪৪ দাগে কারখানা হিসেবে ১৩ শতক ৫০ পয়েন্ট রেকর্ড ভুক্ত হয়ে সরকারি খাজনা পরিশোধ করে ভূমির মালিক সত্ববান হয়ে নিজ নামে নামজারি করে দীর্ঘ ২৫ বছর ভোগদখল করা অবস্থায় গত ২০০৭ ইং সনে একই এলাকার সিঙ্গারবিল গ্রামের প্রবাসী বাছির মিয়ার নিকট বিক্রি করেন। পরে ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ইং সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ৮৩৪০ নং সাব কাবলা দলিল মূলে মোঃ বাছির মিয়া মালিক সত্ববান হয়ে নিজ নামে নামজারি করে সরকারের খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করা অবস্থায় গত ২০১৬ ইং সনে বাছির মিয়ার কাছ থেকে মৌখিকভাবে মোঃ হামদু মিয়া সহ আরো চারজন যৌথভাবে জমিটি ক্রয় করে তৎকালীন সময়ে ভূমির শ্রেনী পরিবর্তন করে অর্থাৎ কারখানা কে ভিটি ভূমি হিসেবে সাব কাবলা করতে চাইলে ঐ সময়ে কর্মরত সাব রেজিস্টার তথ্য গোপন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকিতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ বছরের ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে হামদু মিয়া ভুঁইয়ার ছেলে হারুন অর রশীদের নামে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ৮৩০০ নম্বর অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (পন্যমূল্য ব্যতীত) করেন। যে জমিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে কারখানা সেই একই জমি ভিটি হিসেবে সাব কাবলা করার পেছনের রহস্য কি? যদিও পত্তন ভুমি অফিস বলছে উক্ত ভূমিটি এখনো পর্যন্ত কারখানা হিসেবেই রেকর্ড আছে।
তৃতীয় ও শেষ পর্বে পড়ুন আরো কারা জড়িত আছেন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই দলিল করার কাজে জড়িত।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply